সকালের মৃদু ঠান্ডায় চায়ে চুমুক দেওয়ার সময় প্রথমেই যে প্রশ্নটি মনে আসে তা হলো আজ জ্বালানির দাম কত। অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরোনো, বাচ্চাদের স্কুলে নামিয়ে দেওয়া, অথবা সবজি কেনা, প্রতিটি পদক্ষেপই পেট্রোল, ডিজেল বা সিএনজির উপর নির্ভর করে। দামের সামান্য বৃদ্ধি পুরো বাজেটকে ব্যাহত করতে পারে, অন্যদিকে স্থিতিশীল দাম কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে। অতএব, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর সর্বশেষ দাম জানা সকলের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
আজকের সর্বশেষ দাম
গত কয়েক মাস ধরে পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। এই কারণেই কিছু মহানগরীতে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দিল্লিতে, আজ পেট্রোল প্রতি লিটারে ₹৯৪.৭৭ এবং ডিজেল প্রতি লিটারে ₹৮৭.৬৭ পাওয়া যাচ্ছে। মুম্বাইতে, পেট্রোল প্রতি লিটারে ₹১০৩.৫০ এবং ডিজেল প্রতি লিটারে ₹৯০.০৩ পাওয়া যাচ্ছে। সকাল ৬টার পর এই দামগুলি চূড়ান্ত করা হয় এবং রাজ্য কর এবং পরিবহন চার্জের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
8th Pay Commission : কর্মচারীরা পেলেন বড় স্বস্তি, অষ্টম বেতন বৃদ্ধি, সুপ্রিম কোর্টের বড় সিদ্ধান্ত।
সিএনজির দাম প্রতিদিন ওঠানামা করে। আজ দিল্লিতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৭৬.০৯ টাকা। মুম্বাইতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৭৭.০০ টাকা। উত্তর প্রদেশে প্রতি কেজি সিএনজির দাম প্রায় ৯০.১৬ টাকা। পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় সিএনজি একটি সস্তা বিকল্প, তাই মানুষ ক্রমশ এর দিকে ঝুঁকছে।
কেন দাম জানা গুরুত্বপূর্ণ
জ্বালানির দাম বাড়লে এর প্রভাব কেবল যানবাহন মালিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। বাস ভাড়া, অটো ভাড়া বা ট্যাক্সির ভাড়া সরাসরি প্রভাবিত হয়। এমনকি শাকসবজি, মুদিখানা এবং পরিবহনও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। অতএব, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে পুরো পরিবারের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে। সিএনজি কিছুটা স্বস্তি দেয়, তবে কর এবং পরিবহন খরচের বোঝা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
কীভাবে অর্থ সাশ্রয় করবেন
যখন আপনি প্রতিদিন পেট্রোল পাম্পে যেতে উদ্বিগ্ন বোধ করতে শুরু করেন, তখন বুঝতে হবে যে প্রতিটি ছোট সঞ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত যানবাহন পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইঞ্জিন পরিষ্কার করা, টায়ার চাপ এবং ফিল্টার রক্ষণাবেক্ষণ মাইলেজ উন্নত করে। যখনই সম্ভব সিএনজি বেছে নিন। এটি পকেটের জন্য হালকা এবং দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে। ছোট ছোট দৈনিক ভ্রমণে হাঁটা বা সাইকেল চালানো কেবল অর্থ সাশ্রয়ই করে না বরং আপনার স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
মাঝে মাঝে কারপুলিং করাও বুদ্ধিমানের কাজ। বন্ধুদের সাথে একসাথে যাত্রা ভাগ করে নেওয়া খরচ অর্ধেক কমাতে পারে। বাস, মেট্রো বা লোকাল ট্রেনের মতো গণপরিবহনও সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক বিকল্প।
সময়মতো আপনার ট্যাঙ্ক ভর্তি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাম কিছুটা কম হলে একটি পূর্ণ ট্যাঙ্ক পান, অন্যথায় হঠাৎ দাম বৃদ্ধি একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা হতে পারে। মনে রাখবেন, প্রথমে কয়েক টাকা সাশ্রয় করা সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু মাসের শেষে, এটি একটি উল্লেখযোগ্য স্বস্তির মতো মনে হতে পারে।