প্রতি বছর, উৎসবের মরশুমে, মানুষ সরকারের কাছ থেকে কিছুটা স্বস্তির আশা করে। এবার, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরাও সরকারের দিকে নজর রাখছেন। দীপাবলির আগে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বড় ঘোষণা করতে চলেছে। রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে যে শীঘ্রই অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করা হতে পারে, এবং এর সাথে সাথে মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধিও আশা করা হচ্ছে। এই খবর লক্ষ লক্ষ পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
দীপাবলির আগে উপহারের আশা
সূত্র অনুসারে, সরকার অক্টোবরে অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণা করতে পারে। মহার্ঘ্য ভাতা ৩% বৃদ্ধিও সম্ভব। বর্তমানে, কর্মচারীরা ৫৫% ডিএ পান এবং বৃদ্ধির পরে তা ৫৮% হয়ে যাবে। এই পরিবর্তন সরাসরি বেতন এবং পেনশন উভয়ের উপরই প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কারও মূল পেনশন ₹৯,০০০ হয়, তাহলে ৫৫% ডিএ সহ তারা ₹৪,৯৫০ পান। এর অর্থ হল মোট ₹১৩,৯৫০ পেনশন। কিন্তু ৫৮% ডিএ বাস্তবায়নের সাথে সাথে তা বেড়ে ১৪,২২০ ₹এ দাঁড়াবে। এর অর্থ হল প্রতি মাসে আনুমানিক ₹২৭০ অতিরিক্ত সুবিধা।
দেশজুড়ে কোটি কোটি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য সুবিধা
এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা উপকৃত হবেন। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে, সরকার ডিএ ৫৩% থেকে বাড়িয়ে ৫৫% করেছে, এবং এখন, দীপাবলি উপলক্ষে, আরও একটি সুখবর রয়েছে। উৎসবের মরশুমে এই অতিরিক্ত আয় কেবল পরিবারের চাহিদা আরও সহজে পূরণ করতে সাহায্য করবে না বরং বাজারকেও চাঙ্গা করবে।
জিএসটি হ্রাস থেকে মুক্তি
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি জিএসটি স্ল্যাবে একটি বড় পরিবর্তন করেছে। এখন, কেবল দুটি হার বাকি আছে: ৫% এবং ১৮%, অন্যদিকে বিলাসবহুল পণ্যের উপর ৪০% হারে কর আরোপ করা হবে। সাবান, কফি, পাউডার, ডায়াপার, বিস্কুট, ঘি এবং তেলের মতো দৈনন্দিন জিনিসপত্রের উপর কর কমানো হয়েছে। ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর কর মাত্র ৫% এ কমানো হয়েছে, যা চিকিৎসা খরচ কমাবে। সিমেন্টের উপর কর ১৮% এ কমানো হওয়ায় গৃহ নির্মাতারাও স্বস্তি পেয়েছেন। এর ফলে নির্মাণ খরচ কমবে।
বাজার প্রাণবন্ত হবে।
উৎসবের মরশুমে, যখন ইলেকট্রনিক্স, যানবাহন এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের দাম কমবে, তখন ক্রয়ও বাড়বে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতি উভয়ের উপর। এই দীপাবলির উপহার কেবল বেতনভোগী শ্রেণীকেই নয়, পুরো বাজারকে শক্তিশালী করবে।
এরপর কী হবে?
সরকার ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে ৮ম বেতন কমিশন গঠন করা হবে। সম্ভবত দীপাবলির আগেই এর কার্যপরিধি চূড়ান্ত করা হবে। কমিশনে ছয়জন সদস্য থাকবে এবং তাদের প্রতিবেদন তৈরির জন্য ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় দেওয়া হবে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরেই নতুন বেতন কাঠামোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।